সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় : কিংবদন্তী অভিনেতার স্মৃতির রোমন্থনে এভাবেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানালেন ...........


বিশিষ্টদের প্রতিক্রিয়া




কিংবদন্তি সৌমিত্র চ্যাটার্জী

। ওম শান্তি শান্তি শান্তি ।













 





সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একজন কিংবদন্তী অভিনেতা। চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম স্তম্ভ। আজ তার পতন ঘটল। অসাধারণ প্রতিভাধর মানুষ ছিলেন। কলকাতায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর সঙ্গে শেষবার দেখা হয়েছিল।

—অমিতাভ বচ্চন



















 






কিংবদন্তি সৌমিত্র চ্যাটার্জীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আমি মর্মাহত। প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা, যিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় রুপোলি পর্দা একটি রত্ন হারাল। তাঁর পরিবার এবং অগণিত অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ওম শান্তি শান্তি শান্তি।

—অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 






 




দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার জয়ী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি শোকস্তব্ধ। এক অসামান্য অভিনেতা ছিলেন। তাঁর পরিবার, শুভানুধ্যায়ী ও অনুরাগীদের জন্য রইল সমবেদনা।

রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেতা



 



 Advertisement


Powered By  ADSENCE

 

 





 






বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমার সমবেদনা। এই শূন্যতা অপূরণীয়।

—জগদীপ ধনকার, রাজ্যপাল 

 













 









দিনের পর দিন ওঁর ছবি দেখেই বড় হয়েছি। ‘ফিফটিনথ পার্ক অ্যাভিনিউ’তে ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা অবিশ্বাস্য। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি ঠান্ডা মাথায় মিষ্টি করে আমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। সৌমিত্রদা এটা আমার সৌভাগ্য। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।

—রাহুল বোস, অভিনেতা 






 






সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু এক গভীর দুঃখজনক ঘটনা। বাংলা চলচ্চিত্র চিরকাল তাঁর কাছে ঋণস্বীকার করবে। আমি তাঁর পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানাই।

—বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী 

 




 





বরিষ্ঠ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ বাংলা চলচ্চিত্র জগৎকে শূন্যতায় ভরিয়ে দিল। করোনার বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইকে অসফল করে আমাদের থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। তাঁর আত্মার সদগতি কামনা করি।

—দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি 





 





প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ও অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ইহজগৎ থেকে বিদায় নিলেন। মন বেদনায় ভারাক্রান্ত। শিল্প জগৎ এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হারাল। তাঁর আত্মা স্বর্গবাসী হোক।

—অধীর চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি







 





উদয়ন পণ্ডিত অপরাজেয়। ৮৫-তে এসে ৪০ দিনের লড়াই থামেনি। তিনি বেঁচে আছেন, থাকবেন, তাঁর অমর সৃষ্টিতে, স্মৃতিতে, অসংখ্য মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলে

—সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিএম নেতা











দর্শক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখেছেন। আর আমি কাছ থেকে দেখেছি একজন অভিনেতার ‘ক্ষিদ্দা’ হয়ে ওঠা। ‘কোনি’র শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগে ভোর পাঁচটায় উনি পৌঁছে যেতেন ইন্ডিয়ান লাইফ সেভিং সোসাইটিতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মন দিয়ে দেখতেন ট্রেনার অনিল দাশগুপ্তের ট্রেনিং পর্ব। একজন কোচের চলাফেরা, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সব তখন তাঁর নখদর্পণে। শ্যুটিংয়ে ক্ষিদ্দার চরিত্রে সেই সব অভিব্যক্তিই তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন।

—শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘কোনি’ ছবির অভিনেত্রী







 










ওঁর মৃত্যু নেই। ওঁর হাসি, কাজ, সাহিত্য সবই আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে। এত মার্জিত ও সংযত একজন অভিনেতা বিরল।

—সাবিত্রী, অভিনেত্রী






 





পিতৃহারা হলাম। ওঁর প্রয়াণে যে ক্ষতি হল, তা পূরণ হবার নয়।

—প্রসেনজিৎ, অভিনেতা







 





প্রচুর শিক্ষা লাভ করেছি ওঁর থেকে। মনে পড়ছে, তখন আমি একদম নতুন। তখন ‘শেষ চিঠি’ নামে একটি ছবিতে সৌমিত্রকাকু আর তনুজা আন্টির সঙ্গে কাজ করেছিলাম। পরবর্তীকালে ওঁর সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছি— ‘আরোহন’, ‘পারমিতার একদিন’, ‘বসু পরিবার’, ‘বেলাশেষে’ অসংখ্য ছবি। ‘বেলা শুরু’ ছবিটি কিছুদিন পর মুক্তি পাবে, সেখানেও ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি। বহুবার শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ওঁর দরাজ গলায় কবিতা আবৃত্তি শুনেছি। সৌমিত্রকাকু মানে আমার কাছে অজস্র স্মৃতি।

—ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অভিনেত্রী













 




অপূরণীয় ক্ষতি! কিছু বলার মতো শব্দ পাচ্ছি না। ভেবেছিলাম, সেরে উঠবেন। খুব ভালো একজন বন্ধুকে হারালাম। এত অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। মানিকদার (সত্যজিৎ রায়) ছবি ছাড়াও আরও অনেক ভালো ভালো ছবিতে কাজ করেছেন। যেমন— ‘কোনি’, ‘বর্ণালী’। মনে পড়ছে, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ আর ‘আবার অরণ্যে’র আউটডোর শ্যুটিংয়ে সৌমিত্রর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা হতো। থিয়েটার আর রাজনীতি নিয়ে ওর কথা শুনতাম। বুঝতে পারতাম, মানুষটা কতটা বিচক্ষণ। আজ আক্ষেপ হচ্ছে, সেদিন কেন ওই কথাগুলো রেকর্ড করে রাখলাম না।

—শর্মিলা ঠাকুর, অভিনেত্রী 















 






সৌমিত্রদা চলে যাওয়া মানে মাথার উপর থেকে একটা ছাতা সরে গেল। একসঙ্গে তো আমরা বহু ছবিতে কাজ করেছি। উনি আমার ছবি ‘পারমিতার একদিনে’ কাজ করেছিলেন। সে সময় বলেছিলেন, তুমি বড় পরিচালক। বললেই আমি টেক দেব। সাম্প্রতিক সময়ের কাজের কথা বলতে গেলে ‘বহমান’ ও ‘বসু পরিবার’-এর কথা মনে পড়ে। এই ছবি দু’টোর শ্যুটিংয়ের সময় আমরা দু’জন খুব সাহিত্য ও ছবি নিয়ে আলোচনা করতাম।

—অপর্ণা সেন, অভিনেত্রী























 





পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। জাতীয় পুরস্কারের অনুষ্ঠানে আমার ছবি ‘ট্র্যাফিক সিগন্যাল’-এর দৌলতে মিতভাষী মানুষটার সঙ্গে কথোপকথন আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল যা আমার চিরকাল মনে থাকবে। ওঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা।

—মধুর ভান্ডারকর, পরিচালক 
 





 















মারাত্মক ক্ষতি। শান্তিতে থাকুন স্যার। ভারতীয় সিনেমায় আপনার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।



—মনোজ বাজপেয়ি, অভিনেতা



 
















ওঁর সঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করতে গিয়ে বুঝেছি, পরিণতবোধ কাকে বলে। সংলাপকে কীভাবে শরীর ও মনের ভাষায় প্রকাশ করতে হয়, তা ওঁর কাছ থেকেই বারবার শিখেছি।

—দেবশঙ্কর হালদার, নাট্য ব্যক্তিত্ব 











বাংলা এক মহান সন্তানকে, ভারতমাতা এক মহান শিল্পীকে, চলচ্চিত্র জগৎ এক নক্ষত্রকে হারাল। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের সঙ্গে অবসান হল সত্যজিৎ রায় যুগের। ২০২০ সাল এক অপূরণীয় ক্ষতির বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল।

—সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, চেয়ারম্যান, সারেগামা



 

Post a Comment

0 Comments

Translate

close