জেনে নিন কখন শুরু পঞ্জিকামতে
ভ্রাতৃদ্বিতীয়া তিথির সময় এবং ভায়ের কপালে শুধুই দই-এর ফোঁটা, চন্দন নয় !
'ভাই-এর কপালে দিলাম ফোঁটা, যম দুয়ারে পড়ল কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা.... ' এই কাতর আর্তি বাংলীর ঘরে ঘরে বহু দিন থেকেই চলে আসছে। এই
ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
কিন্তু বর্তমানে এই কোভিড পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান পালনে অনেক বিধিনিষেধ আরোপিত
হয়েছে। তবুও যতটা সম্ভব
মেনেই আজ ভাইফোঁটা সারবেন সকলে। ভাইফোঁটা, যার পোষাকি নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান।
দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে সকাল ৭টা ৪ মিনিটে এবং তিথি শেষ ১৭ তারিখ অর্থাৎ
মঙ্গলবার ভোর ৩টে ৫৭ মিনিটে ৷
আবার গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, তিথি শুরু সকাল ৯টা ৩ মিনিট ৪ সেকেন্ডে এবং তিথি শেষ ১৭ নভেম্বর সকাল ৬টা ৫৪
মিনিট ৫০ সেকেন্ডে ৷ এছাড়াও সোমবার ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান যেমন আছে, তার পাশাপাশি
রয়েছে কার্তিক পুজো, এবং ইতু সংক্রান্তি ৷
কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, অমাবশ্যা তিথিতে কালীপৃজার অনুষ্ঠান শেষ হবার পর, শুরু হয়
প্রতীপদ আর তার পরেই দ্বিতীয়া, এই দ্বিতীয়ার দিনটি ভ্রাতৃদ্বীতিয়া। এই উত্সবের
আরও একটি নাম হল যমদ্বিতীয়া। কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ তাঁর বোন যমুনার
হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন।
Powered By ADSENCE
এছাড়াও আরো একটি উপাক্ষান প্রচোলিত আছে,
যেখানে শোনা যায়- নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তাঁর বোন সুভদ্রার
কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা কৃষ্ণের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে
ভাইফোঁটার শুরু হয়।
বাংলার ঘরে ঘরে এই দিনটিতে বোনেরা দাদা বা
ভাইদের জন্য সকাল থেকেই না খেয়ে স্নান করে পবিত্র চিত্রে ভাইদের মঙ্গলকামনা করে
থাকে এবং কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে তাঁদের দৃর্ঘজীবন কামনা করে। বাংলায় ভাইফোঁটা
একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠান। তবে এ বছর দিন ও তিথির বিচারে চন্দনের ফোঁটা নয়, দই-এর ফোঁটা দেওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে
ঈশ্বরের কাছে আমাদের একটাই প্পার্থনা হোক আমরা সকলেই যেন সুস্থ-সবলভবে বাঁচতে পারি
এবং আগামী বছর এই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া যেন সকলের জন্য মাস্ক মুক্ত ভ্রাতৃদ্বিতীয়া হয়।
0 Comments