বাড়তি সাবধানতা কেন প্রয়োজন শ্বাসকষ্ট জনিত রোগিদের জন্য?


বাড়তি সাবধানতা কেন প্রয়োজন শ্বাসকষ্ট জনিত রোগিদের জন্য?

শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় যে সব মানুষরা ভোগেন তাদের শরীরের আভ্যন্তরীন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই দূর্বল হয়ে পড়ে। সেই কারনে, যে কোন জীবানু সহজেই আক্রমন করতে পারে। আমাদের দেশে COPD (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার মতো শ্বাসকষ্টের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের বেশীরভাগই প্রায় সারাবছরই শ্বাসকষ্টের অসুখে ভোগেন। মুসকিল হল- এই ধরনের মানুষগুলো করনা অক্রান্ত হলে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ জটিল হওয়ার আশঙ্কা সুস্থ সবল মানুষদের থেকে অনেক বেশী।

সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোট কি বলছে দেখা যাক॥

 সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়াছে, সাধারনভাবে য়েখানে করোনায় মূত্যুহার 2.3 শতাংশের আশেপাশে সেখানে সেখানে COPD (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার মতো রুগিদের অক্রান্তদের মূত্যুহার প্রায় 6.3 শতাংশের আশেপাশে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই ধরনের শ্বাসকষ্টজনিত রুগিদের ক্ষেত্রে কোভিড কতটা ভয়ঙ্কর।

শ্বসকষ্ট জনিত রুগিদের বাড়তি সাবধানতা কেন প্রয়োজন?

প্রথমত এই ধরনের রুগিরা শ্বাসক্ট জনিত রোগে ভোগার ফলে-শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে জীবানুর সঙ্গে লড়াই করে পেরে ওঠে না।

দ্বিতীয়ত যেহেতু এই করোনা রোগটা ফুসফুস আক্রমন করে- আর এই সব রুগিদের ফুসফুস এমনিতেই দূর্বল থাকে, তাই সেই কারনেই শ্বাসকষ্ট জনিত রুগিদের বাড়তি সাবধানতা নেওয়া প্রয়োজন।

সাধারন শ্বাসকষ্ট, না করোনা এটা আপনি কিভাবে বুঝবেন?

 COPD (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা রুগিরা প্রায়ই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হয়, আর করোনা অন্যতম উপস্রগ শ্বাসকষ্ট। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে এই শ্বসকষ্ট অ্যাজমার কারনে হচ্চে না করোনার কারনে- উত্তর সাধারন ভাবে শুধু শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখে Covid-19 এর উপসর্গ না অ্যাজমার উপসর্গ- এটা বোঝার উপায় নাই। তবে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি জ্বর থাকলে, করোনার উপসর্গ আছে বলে আশঙ্কা করা হয়। এখানেও আবার অন্য সমস্যা আছে- জ্বর, শ্বাসকষ্ট অন্য ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রামন থেকেও হয়। তাই একমাত্র নির্ভর যোগ্য উপায় করনা পরীক্ষা করে নেওয়া। পরীক্ষার ফলাফলই বলেদেবে ওই ব্যক্তি করোনা পজেটিভ না নেগেটিভ।

সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন-


 ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা বা COPD(ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ)-র রুগিরা সারাবছরই ঔষধ বা ইনহেলার নিয়ে থাকেন। তাদের এই সময় চিকিসকের পরামর্শমতো ঔষধ বা ইনহেলার চালু রাখতে হবে। এছাড়াও করোনার অন্যান্য উপসর্গ যেমন - জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, পেট খারাপ ইত্যাদি লক্ষন থাকলেও চিকিসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সকলের মতই ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা রুগিদেরকে এই নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত। যেমন (১) মাস্ক পরা (২) অন্যের থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা (৩) নিদিষ্ট সময় অন্তর সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবীনু মুক্ত করতে হবে। রোগ প্রতিকারের থেকে রোগ প্রতিরোধ করাটাই আসল দরকার। তবে সমস্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া সত্বেও যদি করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে আতঙ্কিত হবেন না, ঠিক সময়ে চিকিসা শুরু হলে বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে ওঠেন। 



Post a Comment

0 Comments

Translate

close